অন্ডকোষে তিনবার টোকা দিলে করোনা সেরে যাবেঃ পূজনীয় বাবাই দা



সৎসঙ্গ সমাজের শিরোমণি পুজ্যপাদ বাবাইদাকে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কি করণীয় তা জিজ্ঞেস করলে তিনি কিছুক্ষন ঝিম ধরে থাকেন। কি করণীয় এমন প্রশ্নের জবাবে তার কি করা উচিত এটা নিয়েও তিনি কিছুক্ষন ভাবেন।

সারা পৃথিবীতে করোনা যেন বিশ্ব ত্রাস হয়ে দাড়িয়েছে।করোনাভাইরাস আমাদের এখন ঘরবন্দী করেছে। আমিও চার দিন ধরে বাসার বাইরে যাই না। আরও কত দিন এভাবে থাকতে হবে কে জানে? যেকোনো আবদ্ধ জীবন একঘেয়ে। কখনো নিজেকে একা একা, আবার কখনো জীবনটা ফাঁকা ফাঁকা লাগবে। এ সময় নিজের যত্ন নিয়ে পানসে জীবনটাকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চালাতে পারেন।



করোনাভাইরাস সংক্রমণ এখন বৈশ্বিক মহামারি। যেকোনো বৈশ্বিক মহামারির প্রভাব কেবল সেই রোগের সংক্রমণ, চিকিৎসা আর প্রতিরোধের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বৈশ্বিক মহামারি পরিবর্তন করে মানুষের মনোজগৎ। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনেও এর ঢেউ এসে পড়ে। এ সময় রোগ সংক্রমণ আর অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ভয় থেকে মৃত্যুভীতি, অবসাদে ভোগা, উদ্বিগ্ন হওয়া, হঠাৎ রেগে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক থেকে মনের ওপর তৈরি হয় বাড়তি চাপ। অতিরিক্ত মানসিক চাপ ব্যক্তিগত রোগপ্রতিরোধকে বাধাগ্রস্ত করবে এবং সামষ্টিক প্রতিরোধের ধাপগুলোকেও দুর্বল করে দেবে। যেকোনো বিপদ মোকাবিলার সময় চাই ধৈর্য, দায়িত্বশীল আচরণ আর সাহস।

ইন্টার এজেন্সি স্ট্যান্ডিং কমিটির মতে, বৈশ্বিক মহামারির সময়গুলোতে মানসিক চাপের কারণে যে প্রতিক্রিয়াগুলো বেশি দেখা যায়, সেগুলো হলো—



● সংক্রমণ আর মৃত্যুর ভয়।

● সংক্রমণের ভয়ে অন্যান্য সাধারণ রোগের চিকিৎসা গ্রহণ না করে হাসপাতাল/ স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রগুলো এড়িয়ে চলা।

● কাজ বা চাকরি হারানোর ভয়।

● সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে এমন ব্যক্তির (বিদেশফেরত বা তাঁদের সংস্পর্শে আসা অন্যরা) নিজের পরিবার বা সমাজ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার ভয়।

● হতাশায় ভোগা—কিছুই করতে পারব না ভেবে ভেঙে পড়া।

● সংক্রমিত হলে চিকিৎসা না পাওয়ার শঙ্কা।

● গণমাধ্যমে সংক্রমণের বা মৃত্যুর খবর ইত্যাদি দেখে আরও আতঙ্কিত হওয়া।

এবার আসুন খবরে সৎসঙ্গ সমাজের শিরোমণি পুজ্যপাদ বাবাইদাকে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কি করণীয় তা জিজ্ঞেস করলে তিনি কিছুক্ষন ঝিম ধরে থেকে বলেন অন্ডকোষে তিনবার টোকা দিলে করোনা সেরে যাবে।



You may also like...