হুট করে পড়তে বসে বিশ্ব মা দিবসে আম্মু-কে চমকে দিলো মিরপুরের আশফাক

হুট করে পড়তে বসে বিশ্ব মা দিবসে মা কে চমকে দিলো আশফাক। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী ঢাকার মিরপুরের একটি বসায়।

জানা যায় আশফাক এবারের বছর ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার অংশগ্রহণ করা একজন নামকরা কলেজের পরীক্ষার্থী। করোনার কারনে তার পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেছে।পরীক্ষা স্থগিতের কারনে আশফাক পড়াশোনা সব লাটে তুলে দিয়েছে।

আশফাকের অভিযোগ তার আম্মু সারাদিন রেডিও র ‘পড়তে বস।পড়তে বস’ বলে রেডিও র মতো ঘ্যানঘ্যান করে।আশফাকের একটু পড়তে ভালো লাগে না। মাঝে মাঝে আশফাক জীবনের উপর বিরক্ত হয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস লিখে ‘এইচ এস সি পরীক্ষা যেখানে অনিশ্চিত, সেখানে পড়তে বসা বিলাসিতা’

 

আশফাকের মা ফেইসবুকে ছেলের এসব স্ট্যাটাস দেখে রাগে খুন্তি, ঝাটা,জুতা,হ্যাঙ্গার নিয়ে তেড়ে আসেন। সুযোগমতো উত্তম-মাধ্যম দেন। তবুও আশফাক পড়তে বসে না। এটা নিয়ে ভারী দু:খ হয় আশফাকের আম্মুর।আশফাক আর কখনোই পড়তে বসবে না এই দু:খ নিয়ে প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যান এই ভদ্রমহিলা (আশফাকের আম্মু)।

আজ সকালে আশফাকের আম্মুর জীবনে ঘটে যায় এক ঝড়। এই ঝড়ে লণ্ডভণ্ড করে দেন তার সকল ধ্যান ধ্যারনাকে।

তিনি আজ সকালে দেখেন আশফাক ঘুম থেকে উঠেই টেবিলে পড়তে বসে গেছেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আশফাকের আম্মু বলেন, উমা সকালে উঠে দেখি আশফাক টেবিলে বসে পড়ছে। আমি প্রথমে দেখে অবাক। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে না পেরে গায়ে চিমটি কাটি।চামটি কেটে দেখি ঘটনা বাস্তব। তারপর ঘটনার আকস্মিকতা সহ্য করতে না পেরে ‘আল্লাগো’ বলে চিৎকার দিয়ে বসি।আমার চিৎকারে বাসার সবাই ছুটে আসে।

এটুকু বলতেই আশফাক তার আম্মুকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দেয়।

তারপর আশফাক বলে, শুনেন ভাই আম্মু বেশি বেশি বলছে। আমি আসলে মা দিবসে আম্মু কে সারপ্রাইজ দিতে যেয়ে তাই বই নিয়ে বসেছি.

একটি ইতিহাসে বলা হয় ‘মা দিবসের’ প্রচলন শুরু হয় প্রাচীন গ্রিসে। অপর ইতিহাস হলো-সর্ব প্রথম ১৯১১ সালের মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার আমেরিকাজুড়ে ‘মাদারিং সানডে’ নামে একটি বিশেষ দিন উদযাপন করা হয়। ১৯১৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন দিবসটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেন। এরপর পৃথিবীর দেশে দেশে মা দিবসটি পালনের রেওয়াজ ছড়িয়ে পড়ে। পৃথিবীর সব দেশেই মা শব্দটিই কেবল সর্বজনীন।

মা প্রথম কথা বলা শেখান বলেই মায়ের ভাষা হয় মাতৃভাষা। মা হচ্ছেন মমতা-নিরাপত্তা-অস্তিত্ব, নিশ্চয়তা ও আশ্রয়। মা সন্তানের অভিভাবক, পরিচালক, ফিলোসফার, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও বড় বন্ধু। মায়ের দেহে নিউট্রোপেট্রিক রাসায়নিক পদার্থ থাকায় মায়ের মনের মাঝে সন্তানের জন্য মমতা জন্ম নেয়, মায়ের ভালোবাসার ক্ষমতা বিজ্ঞানের মাপকাঠিতে নির্ণয় করা সম্ভব নয়। মাকে মহান আল্লাহ তা’য়ালা স্বীয় রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাহে আলাইহে ওয়া সাল্লামের পরে সর্বোচ্চ আসন দিয়েছেন।

You may also like...