জন্মনিয়ন্ত্রন করতে ইভ্যালিতে ফুটকা অর্ডার করেছিলেন শিহাব,ডেলিভারি পেলেন ২ সন্তানের বাবা হওয়ার পর!



জন্মনিয়ন্ত্রনের জন্যে ইভ্যালিতে প্রটেকশন অর্ডার করেছিলেন শিহাব,ডেলিভারি পেলেন ২ সন্তানের বাবা হওয়ার পর।স্ত্রীর সাথে তাই নিয়ে মনোমালিন্য

কিনলেই অর্থ ফেরতের অস্বাভাবিক ‘ক্যাশব্যাক’ অফার দিয়ে ব্যবসা করছে বাংলাদেশি ডিজিটাল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালি। ১০০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক অফার দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ ১০০ টাকার পণ্য কিনলে সমপরিমাণ বা তার চেয়েও বেশি অর্থ ফেরত দেওয়ার লোভনীয় এই অফারে হাজার হাজার গ্রাহক আকৃষ্ট হচ্ছেন। লাভবানও হচ্ছেন অল্প কেউ, বেশির ভাগই আছেন লাভবান হওয়ার অপেক্ষায়।

কার্যক্রম শুরুর দুই বছর পার না হতেই এ পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানটি এক হাজার কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছে। অথচ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন মাত্র ৫০ হাজার টাকা। ব্যবসা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এক বছর আট মাস বয়সী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কাছে নানা অভিযোগও জমা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়ের ধরন দেখে বিশেষজ্ঞরাও আশঙ্কা করছেন, এতে মানি লন্ডারিংয়ের সুযোগ রয়েছে।- প্রথম আলো

গত বছরের ২১ জানুয়ারি ই-ভ্যালি থেকে এক  প্যাকেট  জন্মনিয়ন্ত্রন ফুটকা(কনডম) কেনার অর্ডার দিয়েছিলেন বারিধারার  বাসিন্দা শিহাব দাম ৮০০ টাকা। তিনি জানান, ই-ভ্যালি তাঁকে বলেছিল ৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ফ্যান পৌঁছে দেবে বাসায়। অর্ডারের সঙ্গে ১০০ শতাংশ অর্থাৎ ৮০০ টাকা ক্যাশব্যাক পান শিহাব। এই টাকা ই-ভ্যালির সরবরাহ করা আন্ডার ইয়ার কিনেন। কিন্তু দুই বছর হতে চললেও ফুটকা আর পাননি তিনি।



শিহাব বেঙ্গলি সার্কাজম লজ্জা ভেঙে কে বলেন, ‘ প্রটেকশন(কনডম) আমার দরকার ছিল বলেই অর্ডার দিয়েছিলাম। অপেক্ষা করতে করতে একপর্যায়ে বিরক্ত হয়ে যায়।জন্ম নিয়ন্ত্রন তো হলোই না উলটো এখন আমি দুই সন্তানের বাবা।অপেক্ষা করতে করতে আমার স্ত্রী আমাকে ডিভোর্স দিতে চেয়েছিল।শেষে তড়িঘঅরি করে এই সিদ্ধান্ত থেকে ফ্যান কিনে ফেলি। ই-ভ্যালি যদি কোনো সময় প্রটেকশন(কনডম) দেয়ও, তা দিয়ে কী করব, এখন আছি সেই দুশ্চিন্তায়।’

প্রচলিত পদ্ধতিতে পণ্য কেনার সঙ্গে সঙ্গে দাম পরিশোধ করতে হয়। দেশে কিস্তিতে ও বাকিতে পণ্য কেনার সুযোগও তৈরি হয়েছে এখন। আর কয়েক বছরের প্রবণতা হচ্ছে অনলাইনে কেনাকাটা। সে ক্ষেত্রে পণ্য সরবরাহ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম পরিশোধ করতে হয়, যাকে বলা হয় ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’। কিন্তু ই-ভ্যালি এসব পথে হাঁটছে না। ই-ভ্যালি থেকে পণ্য কিনতে গেলেই দাম পরিশোধ করতে হয় আগে



You may also like...