বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মাহফুজ আজ রাতে আঘাত হানবে বাংলাদেশ উপকূলে




বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মাহফুজ আজ রাতে আঘাত হানবে বাংলাদেশ উপকূলে

শক্তিশালী হচ্ছে “ঘূর্ণিঝড় মাহফুজ”! ঘূর্ণিঝড়টি আজ বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা বেশি।





ঘূর্ণিঝড় মাহফুজের প্রভাবে ঈদের দিন সকাল থেকে দেশের নানা প্রান্তে বৃষ্টি এবং ঝড়ো বাতাস বইতে শুরু করছে।

ঘূর্নিঝড় মাহফুজের প্রভাব মোকাবেলায় এই মূহুর্ত থেকে টিভি সেটের সামনে অবস্থানরত সকল দর্শক শ্রোতাকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মাহফুজে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে টিভির সামনে থেকে থেকে প্রায় ২২ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে সরকার। মঙ্গলবার দিনের মধ্যে প্রায় ১৮ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছেছেন বলে  জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা.







মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ সাতক্ষীরা-খুলনা হয়ে বাংলাদেশ টিভি উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ।

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশের সময় ঘূর্ণিঝড় মাহফুজটির গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় প্রায় ১২০ কিলোমিটার।

বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে আম্ফানের তাণ্ডব বাংলাদেশের জন্য মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো। আর আশ্রয়কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা না গেলে সেখান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তবে ঘূর্ণিঝড় মাহফুজ মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি “অন্য সময়ের চেয়ে বেশি,” বলে জানান দায়িত্ববান একজন কর্মকর্তা

তিনি বলেন, “আমরা ঘুর্ণিঝড় ফনির সময় ১৮ লাখ মানুষকে সাড়ে পাঁচ হাজারের মতো সাইক্লোন সেন্টারে নিয়েছিলাম। এবার আমরা প্রায় ২২ লাখ মানুষকে তাঁদের বাড়িঘর থেকে সাইক্লোন সেন্টারে নেব। ইতোমধ্যে প্রায় ১৮ লাখ মানুষ উপকূলীয় বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছি।”

প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় ফনি ২০১৯ সালের মে মাসে ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যে আঘাত হানে। এর প্রভাবে বাংলাদেশেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।


You may also like...